করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে চট্টগ্রামে টহল জোরদার করেছে সশস্ত্র বাহিনী। এছাড়া রাস্তায় কেমিকেল মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করেছে নৌবাহিনী। বাজারগুলোতে বৃত্ত এঁকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বাধ্য করছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার সকালে নৌ ঘাঁটি ঈশা খাঁর আশপাশের রাস্তায় কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি ছিটাতে মাঠে নামে নৌ বাহিনীর ফায়ার ফাইটিং দল। সিমেন্ট ক্রসিং থেকে শুরু করে ইপিজেড মোড় পর্যন্ত জীবাণুনাশক ছিটানো হয়। নগরী ছাড়াও উপকূলীয় এলাকাগুলোতে নানা ধরনের তৎপরতা চালায় বাংলাদেশ নৌ বাহিনী।
নৌ বাহিনীর টিম লিডার কমান্ডার জুলিয়াস বলেন, নিজস্ব স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জনসমাবেশ না করা। এবং যে সব বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। তা জারি করার জন্যই আমাদের টিম কাজ করে যাচ্ছে।
সরকারি বিধি নিষেধ সত্ত্বেও শুক্রবার হওয়ায় কাঁচা বাজারগুলোতে ছিল ক্রেতাদের ভিড়। তবে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা বাজারে বাজারে গিয়ে লাল বৃত্ত এঁকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ক্রেতাদের কাছে তাদের ন্যায্য দামে পণ্যে বিক্রি করছে কি না। আমরা সে বিষয়টা দেখছি। এবং যারা অতিরিক্ত দামে পণ্যে বিক্রি করছে তাদের জরিমানা করছি।
করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে গুজব ঠেকাতে মাঠে এলিট ফোর্স র্যাবও। বিশেষ করে নগরজুড়ে টহল দেয়ার পাশাপাশি গুজব প্রতিরোধে মাইকিং করছেন তারা।
এদিকে প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে বাধ্য করতে শুক্রবারও বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়ান সেনা সদস্যরা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী টিম লিডার মেজর আশিক বলেন, কেউ যদি না মানে, সে অভিযোগ যদি আমাদের কাছে আসে। তাহলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তাদের বাধ্য করব হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে।
ইমিগ্রেশন থেকে পাওয়া প্রবাসীদের তালিকা অনুযায়ী নগরীর ১৬ থানা এলাকায় একযোগে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।